সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের বাসিন্দাদের ভূমির স্থায়ী বন্দোবস্ত ও পানি-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ছয়টি মামলা হয়েছে।

সীতাকুণ্ড থানায় পুলিশের করা এসব মামলায় নারী-পুরুষসহ প্রায় ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক  বলেন, “পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরসহ দুটি ঘটনায় ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনন্ত দেড়শজনকে আসামি করা হয়েছে এসব মামলায়।”


সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা, বিস্ফোরক, রাষ্ট্রীয় সম্পত্তির ক্ষতি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাগুলা করা হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

মঙ্গলবার প্রায় চার ঘণ্টা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে ভূমির স্থায়ী বন্দোবস্ত ও পানি-বিদ্যুতের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের দাবি জানায় সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরের বাসিন্দারা।

তাদের বিক্ষোভের কারণে মহাসড়কে আটকা পড়ে বিভিন্ন শিল্প কারখানার পণ্যবাহী হাজারো যানবহান। বাসে, ব্যক্তিগত গাড়িতে আটকে পড়া হাজার হাজার নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হয়।

শেষ পর্যন্ত তাদের সরিয়ে সড়কে যান চলাচল শুরু করতে বল প্রয়োগ করতে হয় পুলিশকে। সে সময় পুলিশের সাথে অবরোধকারীদের সংঘর্ষ বাঁধে।

জঙ্গল সলিমপুরের বাসিন্দাদের দাবি, ওই এলাকার দুই অংশ ছিন্নমূল ও আলীনগরের সব বাসিন্দাকে সরকারি খাস জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দিয়ে সেখানে সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে। তবে প্রশাসন বলছে, প্রকৃত ভূমিহীনদেরই শুধু পুনর্বাসন করা হবে।


গত প্রায় দুমাস ধরে সলিমপুরের বাসিন্দাদের সাথে প্রশাসনের বিরোধ চলছে। সেখানে আলীনগরে অবৈধ বসতি উচ্ছেদে এখন পর্যন্ত নয় বার অভিযান চালানো হয়েছে। বিচ্ছিন্ন করা হয় পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ।

বিক্ষোভে সরকারবিরোধীদের উসকানির অভিযোগ তুলে পরিদর্শক সুমন বলেন, “ঘটনাস্থলের ছবি বিশ্লেষণ করে এবং বিভিন্ন প্রকার তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে, সলিমপুর এলাকার বিএনপি-জামায়াতের লোকজনও জড়িত ছিল।“