নিজস্ব প্রতিবেদক
এককালের পুকুর, দীঘি ও জলাশয় সমৃদ্ধ রাউজান ভূমিদস্যুদের থাবায় জলাধারশূন্য হয়ে পড়ছে। তাদের আগ্রাসনে পুকুর, দীঘি, জলাশয়গুলো একে একে ভরাট হয়ে যাচ্ছে।
১৬০ বছরের পুরানো রাউজানের পূর্ব কচুখাইনে মোহাম্মদীয়া দরবার শরীফের ঐতিহ্যবাহী দিঘী ভরাটের প্রস্তুতি সম্পন্ন। কর্ণফুলী নদী থেকে সাড়ে ৪ হাজার ফুট পাইপ টেনে দিঘী ভরাটে বালি উত্তোলনের ব্যবস্থা করা হয়েছে । দিঘী ভরাটে নেতৃত্ব দিচ্ছেন খোরশেদ মেম্বার গং । শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই দীঘি ভরাটে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ কারো কাছ থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। এলাকাবাসী জানান হঠাৎ করে কিছু কুচক্রী মহল এই পুকুর ভরাটে উঠে পড়ে লেগেছে।
খোরশেদ মেম্বার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সকালের চট্টগ্রামকে বলেন, আমি এককভাবে পুকুর ভরাট করছি না, আমার সাথে আরো অনেকে আছেন।পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়া অনুমতি দিয়েছেন। প্রতিবেদককে তিনি বসে আলাপ করার প্রস্তাব দেন।
দিঘি ভরাটের ব্যাপারে স্থানীয় নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বাবুল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি সকালের চট্টগ্রামকে বলেন, সকালের চট্টগ্রাম পত্রিকা বিকেলে নিউজ করবেন। তিনি প্রতিবেদককে বলেন এই পুকুর ভরাটের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।খোরশেদ মেম্বারকে অনুমতি দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, আমি যে অনুমতি দিয়েছি তার কাছে লিখিত আছে?
দীঘি ভরাটের ব্যাপারে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ফেরদৌস আনোয়ার সকালের চট্টগ্রামকে বলেন,আমরা অভিযোগ পেয়েছি দীঘি ভরাটকারীদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নেব ।
রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সকালের চট্টগ্রামকে বলেন, সকালের চট্টগ্রাম পত্রিকার মাধ্যমে আমরা জেনেছি। তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সকালের চট্টগ্রামকে বলেন, কেউ যদি অন্যায় ভাবে দীঘি ভরাট করে থাকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।
মানবাধিকার কর্মী আশরাফ উদ্দিন নাহিদ বলেন, শতবর্ষি এই দিঘীটি ভরাট হলে পরিবেশ বিপর্যয় হবে। তাই প্রশাসনের উচিত দীঘি ভরাট থেকে রক্ষা করা এবং পরিবেশ রক্ষা করা।