চট্টগ্রাম সিটি কপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আলোকিত সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হলে সুশিক্ষিত সুনাগরিক গড়ে তুলতে হবে। তথ্য ও প্রযুক্তির যুগে শিক্ষার্থীদের নীতি-নৈতিকতায় মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব শিক্ষক ও অভিভাবকদের। নীতিহীন ও আদর্শহীন জীবনের কোনো মূল্য নেই।
তিনি আজ ১৭ মার্চ (শুক্রবার) বিকালে নগরের ঐহিত্যবাহী হালিশহর বেগমজান উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুইদিনব্যাপী ‘প্লাটিনাম জুবিলী’ উৎসবের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ইব্রাহিম খলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. এ কিউ এম মোহছেন,  এডিশনাল  ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম,  মোহাম্মদ লিয়াকত চৌধুরী এফসিএ ও বায়েজিদ থানা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ শফিউল আলম। উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নাসিম উদ্দিন, মো. ইফতেখার  হোসেন, ৩৯ নং চসিক ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন, শাহজাদা আলম, ইয়াছিন মাহমুদ ও সাজ্জাদ আলম।
এরআগে বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত প্লাটিনাম জুবিলী উৎসবে প্রাক্তন ৫ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। সকাল ১০ টায় একটি শোভাযাত্রা স্কুল মাঠ থেকে শুরু করে হালিশহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে আবার মাঠে এসে শেষ হয়। এতে অংশ নেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা।
বাঁশি, ভেঁপু, ভুভুজেলার শব্দ আর অংশ গ্রহণকারীদের উল্লাসে মুখরিত হয়ে ওঠে হালিশহর বন্দর এলাকা।
 অনুষ্ঠানে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নগরীর রাস্তা-ঘাট সংস্কার, পরিষ্কার-পরিছন্নতা, আলোকায়ন করাই সিটি কর্পোরেশনের মূল কাজ। এর বাইরে চসিক ৮০টির অধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। দেশের অন্য কোন সিটি কর্পোরেশন এই কাজ করে না। এই বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কর্পোরেশনকে অনেক ভর্তুকি প্রদান করতে হয়।
হালিশহর বেগমজান উচ্চ বিদ্যালয় ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালে ৭৫ বছর পূর্ণ হয় বিদ্যালয়টির।