গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রেকর্ড গড়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের নৌকা মার্কার প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। জায়েদা খাতুনের বিজয়ের মধ্য দিয়ে গাজীপুরবাসী একজন নগরমাতা পেলো।


এর আগে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে টানা ভোটগ্রহণ। ভোট নেওয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)। ২০১৩ সালে সিটি করপোরেশন গঠিত হবার পর গাজীপুরের তৃতীয় নির্বাচন এটি।  গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে। সারা দেশের মানুষের চোখ ছিল গাজীপুর সিটি করপোরেশন (গাসিক) নির্বাচনের ফলাফলের দিকে। এবারের নির্বাচনে কে জয়ী হবেন? কে হবেন গাজীপুরের তৃতীয় নগরপিতা। অবশেষে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে গাজীপুর নগরবাসী তৃতীয়বারের মতো পেলেন একজন অরাজনৈতিক নগরমাতা।


নির্বাচন নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ছিল না প্রার্থীদের। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও বিচ্ছিন্ন দুই-একটি ঘটনা ছাড়া কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচন নিয়ে বেশ তৎপর ছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগারগাঁওয়ের নির্বাচন অফিসে বসে সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করা হয়। ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষে বেআইনিভাবে প্রবেশের অভিযোগে দুজনকে আটক করে পুলিশ।

প্রায় ৩৩০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ৩০ লক্ষাধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন, মহিলা ভোটার পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ১৮ জন।