বাংলাদেশকে আরও দুই বিলিয়ন বা ২০০ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক, যা দেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ২৩ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১৯ টাকা ৫৪ পয়সা হিসেবে)। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডাকে সহায়তা করতে চলতি অর্থবছরে এই ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সংস্থাটি।
ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সাক্ষাতের সময় নতুন সহায়তার এ প্রতিশ্রুতি দেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক। সাক্ষাতে আবদুলায়ে সেক বলেন, আমরা আপনাকে যত তাড়াতাড়ি ও যতটা সম্ভব সহায়তা করতে চাই। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রয়োজনে সহায়তা করবে।
আবদুলায়ে সেক বলেন, নতুন প্রতিশ্রুতি ছাড়াও বিশ্বব্যাংক সরকারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বিদ্যমান কর্মসূচি থেকে আরও প্রায় অতিরিক্ত এক বিলিয়ন ডলার পুনর্ব্যবহার করবে। তার ভাষ্য, বিদ্যমান প্রকল্পগুলোর অর্থ পুনর্বিন্যাস হলে চলতি অর্থবছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে যে সহজ শর্তে ঋণ ও অনুদান দেবে তার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত রোববার বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তার ঘোষণা দেয় বিশ্বব্যাংক, যা দেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ১১ হাজার ৯৫৪ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১৯ টাকা ৫৪ পয়সা হিসেবে)। ১০০ কোটি ডলারের মধ্যে পলিসি বেইজড ঋণ হিসেবে ৭৫ কোটি ডলার এবং ইনভেস্টমেন্ট লোন ও গ্যারান্টি ফ্যাসিলিটি হিসেবে ২৫ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে। ডিসেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাংকের বোর্ডে এ ঋণ অনুমোদন হওয়ার কথা। ঋণটি পেতে বাংলাদেশকে তিনটি শর্ত পালন করতে হবে। সেগুলো হলো- বেসরকারি খাতে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি গঠন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে খেলাপি ঋণের নতুন সংজ্ঞা নির্ধারণ এবং নতুন গঠিত টাস্কফোর্সের অডিট ফার্মের কার্যবিবরণী বিশ্বব্যাংকে উপস্থাপন করা।