চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক  ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার দেশের সব সেক্টর ধংস করে দিয়েছে। বিচার বিভাগকে দলীয় করণের মাধ্যমে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞে ব্যবহার করা হয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হবে বিচার বিভাগকে দলীয়করণ মুক্ত করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে দেশে আর কোন অন্যায় অবিচার হবে না।

তিনি আজ বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে চট্টগ্রামে আইনজীবীদের সাথে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদেও নামে দায়ের করা গত ১৬ বছরের বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত  বিষয়ে আলোচনা শেষে  এসব কথা বলেন।

ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, রাষ্ট্র ও সমাজে আইনের শাসন থাকলে সবাই নিরাপদ। না থাকলে কেউ নিরাপদ নয়। গত ১৬ বছরে দেশে কোথাও আইনের শাসন ছিল না। তাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। প্রত্যেক নাগরিকের ভোটের অধিকার শক্তিশালী অস্ত্র। এই অস্ত্রের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। জনগনের সরকার গড়তে হবে। জবাবদিহিমূলক জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়।

ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, ২০০৭ সাল থেকে আগস্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত সকল রাজনৈতিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, হয়রানিমূলক মিথ্যা গায়েবী মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর বিএনপিসহ সকল বিরোধী রাজনৈতিক দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছিল। মিথ্যা গায়েবি মামলায় অনেকেই জেল হাজতে মৃত্যুবরণ করেছে। মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার শুধু মিথ্যা মামলা দিয়ে ক্লান্ত হয়নি যারা সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছে তাদেরকে গুম, খুন, নির্যাতন করেছে।  বাংলাদেশের মানুষ ১৬টি বছর আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনে অতিষ্ঠ ছিল। নির্বাহী আদেশে বিগত ১/১১ থেকে শেখ হাসিনার শাসন আমলের ১৬টি বছরে যে সমস্ত রাজনৈতিক, হয়রানিমূলক, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গায়েবি মামলা হয়েছে, সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য এডভোকেট দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট  মফিজুল হক ভূঁইয়া, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট নাজিমুদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আরশাদ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক, এডভোকেট আকবর আলি, এডভোকেট মাইনুউদ্দিন মোহাম্মদ সোহেল, এডভোকেট কানিজ কাউসার চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আরশাদ হোসেন, এডভোকেট সেলিনা খানম, এডভোকেট নাস আরফিন সিরাজী কাকলি, এস এম ইকবাল চৌধুরী, এডভোকেট নেজাম উদ্দিন, এডভোকেট দেলোয়ার হোসাইন, এডভোকেট সান্জিক, এডভোকেট  মাহমুদুর আলম চৌধুরী মারুফ, এডভোকেট তৌহিদুর রহমান তুহিন, এডভোকেট জায়েদ বিন রশিদ, এডভোকেট আয়েশা আকতার সানজি, এডভোকেট সার্বিয়া শাওলিন, এডভোকেট ফাহমিদা আক্তার প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির নেতা হাজী নবাব খান, শাহীনুর কবির শাহীন, যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, জসিম উদ্দীন চৌধুরী, নাসিম উদ্দীন চৌধুরী নাছিম, রিপন মাহমুদ, মো. মুছাসহ নেতাকর্মীরা।