লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় সংগঠনের প্রধান হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে হিজবুল্লাহ। আজ শনিবার হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর আগে বৈরুতে সিরিজ বোমা হামলায় হাসান নাসরাল্লাহ নিহত হয়েছেন বলে দাবি করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
শিয়া নেতা হাসান নাসরাল্লাহ ১৯৯২ সাল থেকে হিজবুল্লাহর নেতৃত্বে ছিলেন। সংগঠনটিকে একটি রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে তার। ইরান ও এর সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সঙ্গেও হাসান নাসরুল্লাহর ছিল ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। তিনি কয়েক বছর ধরেই জনসমক্ষে আসছিলেন না। ইসরায়েলের হাতে হত্যার শিকার হওয়া থেকে বাঁচতেই তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলেন বলে মনে করা হয়। সম্প্রতি তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে টেলিভিশন ভাষণে বলেছিলেন, 'পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ সব সীমা ছাড়িয়ে গেছে।'
নাসরাল্লাহ আরও বলেন, 'এই আক্রমণ যাবতীয় আইন, নৈতিকতা ও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এটাকে যুদ্ধ ঘোষণা বা যুদ্ধাপরাধ বলা যেতে পারে।'
আইডিএফ জানিয়েছিল, গতকাল শুক্রবার রাত থেকে শুরু করে আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোর পর্যন্ত চালানো হামলায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে নিহত হয়েছেন হাসান নাসরুল্লাহ। এক বিবৃতিতে আইডিএফ আরও জানায়, হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ ছাড়াও সংগঠনটির আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতা নিহত হয়েছে যাদের মধ্যে রয়েছে হিজবুল্লাহর দক্ষিণাঞ্চলীয় ফ্রন্টের কমান্ডারও।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বৈরুতের দাহিয়েহ এলাকার একটি আবাসিক ভবনে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী হামলা চালিয়ে সেখানকার লক্ষ্যবস্তু হিসেবে মাটির নিচে থাকা হিজবুল্লার সদরদপ্তর ধ্বংস করে দেয়। মূলত হাসান নাসরুল্লাহর অবস্থানকে লক্ষ্য করেই এই হামলা চালানো হয়।
আইডিএফ জানায়, হিজবুল্লাহর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ বৈরুতের দক্ষিণে দাহিয়েহ এলাকার হিজবুল্লাহর ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত একটি আবাসিক ভবনে বৈঠক করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে ইসরায়েল ওই বিমান হামলা চালায়। তবে তখন এ বিষয়ে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে কেউ কোনো ধরনের মন্তব্য করেনি।