সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানাসহ ৬ জনের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠার প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ আজ এই নির্দেশ দেন।

পাশাপাশি ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত রাজউকের প্লট বরাদ্দে অনিয়ম তদন্ত করতে আদেশ দেয়া হয়েছে কমিটিকে। তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রুলে প্লট বরাদ্দের সঙ্গে জড়িত ও সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে আইন অনুযায়ী কেন ব্যবস্থা নেয়া হবে না-সংশ্লিষ্টদের কাছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি মিফতা উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান করে আইনজীবী জসিমউদদীন সরকার ও ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হাসিনের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৪ মাসের আদালতে দাখিল করতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবের প্রতি নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান আদালতের বিষয়টি বাসসকে জানান।

আদালতে রিট আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দীন। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান ও নূর মুহাম্মদ আজমী।

সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী আবেদনকারী হয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর ওই রিট করেন। রিট আবেদনকারী ওই ১০ আইনজীবী হলেন মো. রেজাউল ইসলাম, আল রেজা মো. আমির, মো. গোলাম কিবরিয়া, মোহাম্মদ হারুন, মো. বেলায়েত হোসেন সোজা, কামরুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ খান, শাহীনুর রহমান, মো. জিল্লুর রহমান ও ইসমাইল হোসেন।

রাজউকের প্লট অবৈধভাবে বরাদ্দের বৈধতা নিয়ে করা এই রিটে বিষয়টি তদন্তে হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এক বিচারপতিকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।

রিট আবেদনে এসব বরাদ্দের সঙ্গে জড়িত ও সুবিধাভোগীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।