অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরীকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক এবং আবু মোহাম্মদকে পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও ইফতেখার উদ্দিন খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. ছালাউদ্দিনের নেতৃত্বধীন নির্বাচন কমিশন তারিখ নির্ধারণ করে তফশীল ঘোষণা করে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ১০ ও ১১ জানুয়ারি সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত দলীয় কার্যালয় নাছিমন ভবন চট্টগ্রাম থেকে প্রার্থীগণ মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ, ১২ জানুয়ারি জমা প্রদান এবং ১৪ জানুয়ারি যাচাই–বাছাই ছিল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. ছালাউদ্দিনসহ বাকি দুই সহকারী নির্বাচন কমিশনার গোলাম আকবর খোন্দকারকে একটি পত্র দেন। এতে তারিখ রয়েছে ১৪ জানুয়ারি। পত্রে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিতদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এতে বলা হয়, উপজেলা পর্যায়ে উপজেলার সভাপতি পদে ২টি, সাধারণ সম্পাদক পদে ২টি ও পৌরসভা সভাপতি পদে ১টি, সাধারণ সম্পাদক পদে ১টিসহ মোট ৬টি মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করা হয়। বিপরীতে ১২ জানুয়ারি ৪টি মনোনয়ন পত্র কমিশন বরাবরে জমা হয়।
উপজেলা সভাপতি পদে অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন এবং পৌরসভার সভাপতি পদে আবু মোহাম্মদ, পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক পদে ইফতেখার উদ্দিন খানের মনোনয়ন পত্র জমা হয়। এরপর ১৪ জানুয়ারি প্রার্থীগণের উপস্থিতিতে মনোনয়নপত্র যাচাই–বাচাইয়ের মাধ্যমে প্রার্থীগণের মনোনয়পত্র সঠিক বলে বিবেচিত হয়। একইদিন বিকেল ৫টায় চূড়ান্তভাবে অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, আবু মোহাম্মদকে ও ইফতেখার উদ্দিন খানকে চূড়ান্তভাবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোলাম আকবর খোন্দকার।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী রাউজান উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও উত্তর জেলা জাতীয়তাবাদী দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য । জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী রাউজানের মোবারক খিল গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি রাষ্ট্র বিজ্ঞান থেকে মাস্টার্স করেন । অধ্যাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী রাউজান থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মরহুম নাজিম উদ্দিন চৌধুরীর ছোট ভাই।