২৮ জানুয়ারী ২০২৫ খ্রিঃ আপনার সম্পদনায় প্রকাশিত সকালের চট্টগ্রাম পত্রিকায় চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে একটি অনলাইন পত্রিকার প্রতিবেদক শারমিন রিমা লাঞ্ছিত শীর্ষক সংবাদটি চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমি এই ধরনের উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
গত ২৭/০১/২০২৫ খ্রি: তারিখ লাঞ্চের পর চেয়ারম্যান মহোদয় দাপ্তরিক জরুরি সভার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ঠিক ঐ সময়ে
প্রতিবেদনকারী জনাব শারমিন রিমা অফিসিয়াল শিষ্টাচার লংঘন করে বিনানুমতিতে চেয়ারম্যান মহোদয় এর কক্ষে প্রবেশ করেন এবং দায়িত্বরত কর্মচারী জনাব মোহাম্মদ ইয়াছিন তাঁর নির্দেশে তাকে নির্ধারিত অপেক্ষমান কক্ষে বসে অপেক্ষা করার কথা বলার পরও তিনি তা কর্ণপাতা না করে বসে থাকেন। কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যান মহোদয় কনফারেন্স রুম থেকে বের হয়ে তাঁর ব্যস্ততার কথা বলেন এবং তাকে বিনয়ের সাথে অপেক্ষমান কক্ষে বসার অনুরোধ জানান। কিন্তু তিনি চেয়ারম্যান মহোদয়ের কথার কর্ণপাত না করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বলতে থাকেন, 'আজ আপনাকে আমার কিছু প্রশ্নের জবাব দিতেই হবে'। তারপরও চেয়ারম্যান মহোদয় তাকে অপেক্ষমান কক্ষে অপেক্ষা করার কথা বলেন এবং পরে উনার সাথে কথা বলবেন মর্মে বলেন। আসলে জনাব শারমিন রিমা এর সাথে দুর্ব্যবহার বা ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ বা লাঞ্ছিত করার কোনো ঘটনাই শিক্ষা বোর্ডে ঘটেনি।
এই শিক্ষা বোর্ডে আর্থিক বিধি বিধান মেনেই সকল প্রকার আর্থিক কাজ সম্পাদন করা হয়ে তাকে। তাই টাকা আত্মসাতের কোনো প্রশ্নই আসে না। উনার চরিত্র হনন করার উদ্দেশ্যেই তিনি এ রকম একটা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়। উল্লেখ্য যে, সচিব থাকাকালীন ক্ষতিপূরণের টাকা নেয়ার বিষয়ে তিনি ইতোপূর্বেও বহুবার সংবাদপত্রে বক্তব্য দিয়েছেন। তাই এ বিষয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই।
বোর্ড চেয়ারম্যান হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের জন্য তিনি চেষ্টা করতে পারেন। এটা উনার অধিকার। সরকার যোগ্য মনে করলে উনাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতেই পারেন। এমতাবস্থায়, চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ এ ধরনের মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রতিবাদ প্রেরণকারী: ড. এ.কে.এম সামছু উদ্দিন আজাদ,সচিব মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম