দ্বিতীয় পর্বে থাকছে....

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ কামাল হোসেনের নগরীতে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র প্রদান, ভবন নির্মাণ, নকশা অনুমোদন, আবাসিক এলাকার লে-আউট অনুমোদনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিন্ডিকেট বাণিজ্য নিয়ে।

 

নগরীর একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এভারগ্রীন হাইটস। সিডিএ এর অনুমোদন না নিয়ে বহুতল ভবনের কাজ চলছে । সিডিএ এর আইন অনুসারে যা সম্পূর্ণ অবৈধ। আরো ২টা ১৩ তলা ভবন হয়েছে যেখানে ৮ ফিট রাস্তা। সিডিএ এর আইন অনুসারে এটা কোনভাবেই সম্ভব না । এই ২টা ভবনে মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্ল্যান অনুমোদন করানো হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে এই তিনটি প্রকল্পের রিপোর্ট প্রদান করেছেন সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ কামাল হোসেন। তিনটি প্রকল্পে বড় ধরনের অনিয়ম হয়েছে বলে জানান নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এক কর্মকর্তা।

 

ভূমিব্যবহার ছাড়পত্র বা প্ল্যান অনুমোদনে ভুক্তভোগীরা জানান, স্বাভাবিক নিয়মে দিলে ছাড়পত্র বা প্ল্যান অনুমোদন কোনটাই হয় না। সিডিএ কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গেলে অনিয়মই নিয়ম হয়ে পাশ হয়ে যায়। চুক্তিতে গেলে ৮ ফিট রাস্তা দিয়ে ১৩ তলা ভবনের প্লান অনুমোদন হয়।

 

 

লাগামহীন ঘুষ বানিজ্যের মাধ্যমে অবৈধ ভূমিব্যবহার ছাড়পত্র সহ প্ল্যান অনুমোদনে অথরাজেশন ও পরিকল্পনা শাখায় বিশৃঙ্খলা অস্থিরতা এবং চেইন অব কমান্ড সম্পূর্ন বিধস্ত করছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।সেবাগ্রগীতাসহ ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এই বিভাগে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদনেও গড়ে উঠেছে চক্র। যার কারণে সেবাগ্রহীতারা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আবেদনকারী অভিযোগ করেছেন, ‘ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্রের (এলইউসি) জন্য তারা আবেদন করলেও দুই-তিন বছর পরও তারা এলইউসি পাননি। আবাসিক এলাকার অনুমোদন নেই-এমন অভিযোগে তাদের এলইউসি দেওয়া হচ্ছে না। আবার একই আবাসিক এলাকায় অনেককে এলইউসি দিয়েছে চউক। মূলত টাকাপয়সা না দেওয়ার কারণেই একই এলাকায় দুই আইন বাস্তবায়ন করছে চউকের পরিকল্পনা বিভাগ। এভাবে শত শত আবেদন আটকে আছে।

এই বিষয়ে জানতে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ মোঃ কামাল হোসেন ফোন ধরেননি।

 

এই বিষয়ে জানতে চাইলে সকালের চট্টগ্রামকে উপ-প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ (ভারপ্রাপ্ত) ও নগর পরিকল্পনাবিদ-২ মোঃ আবু ঈসা আনছারী বলেন, ছাড়পত্র বা প্ল্যান অনুমোদনে রিপোর্ট দেন সহকারী  নগর পরিকল্পনাবিদরা।