বর্তমানে দেশে রিজার্ভের পরিমাণ ২৯.৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা সাড়ে চার মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করার সময় এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, জনগণের ওপর বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। দারিদ্র্যের হার ২০০৫ সালের ৪০ শতাংশ থেকে অর্ধেকেরও বেশি কমে ২০২২ সালে ১৮.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। একই সময়ে অতি দারিদ্র্যের হার ২৫.১ শতাংশ থেকে তিন-চতুর্থাংশ হ্রাস পেয়ে ৫.৬ শতাংশ হয়েছে। ২০০৭-০৮ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ৬.১ বিলিয়ন ডলার, যা দিয়ে ৩ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যেত। বর্তমান রিজার্ভের পরিমাণ ২৯.৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা সাড়ে চার মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানোর জন্য যথেষ্ট।

তিনি বলেন, বাজেটের আকার ২০০৭-০৮ অর্থবছরের ৭৯ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার তুলনায় সাড়ে নয়গুণের বেশি বৃদ্ধি করে আগামী অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ (অনুদান ছাড়া) দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদানসহ এ ঘাটতি দুই লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ ঘাটতি পূরণে সরকার কোন খাত থেকে কত টাকা ঋণ নেবে তারও একটি ছক তৈরি করেছে।

প্রস্তাবিত বাজেট আগামী ২৬ জুন অনুমোদন করা হবে। ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।