চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের ২য় বারের মতো নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরী রোকন গতকাল ১০ মে (বুধবার) বিকালে বাদামতল একটি কমিউনিটি সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন।
এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তার মরহুম পিতা আবদুল জব্বার চৌধুরী দু’যুগের বেশি চেয়ারম্যান ছিলেন, তার মামা বর্তমান সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী ২য় বারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এবং আ’লীগের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে জামায়েত, বিএনপি, রাজাকরের একটি গ্রæপ তার সম্মানহানি, চরিত্র হনন ও আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি করার কুমানসে ২০১৪ সালে অনাকাঙ্খিত এবং মীমাংসিত দূর্ঘটনাকে পূঁজি করে স্থানীয় গোলাম আজাদ শিশু ও কয়েকজন মিলে মিথ্যা, বানোয়াট, করুচিপূর্ণ, অশালীন, পোষ্টার ও ব্যানার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় স্থাপন করে। খবর পেয়ে গত ৭ মে তার সহকর্মীদের নিয়ে খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে রাত ৯ টায় নতুন ব্রীজের টুলবক্স এলাকায় গোলাম আজাদ শিশুর গাড়িতে অশালীন পোষ্টার ও ব্যানার পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে তার সাথে কথা বলে ব্যানার ও পোষ্টার নিয়ে উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ জুনুসহ সমঝোতার মাধ্যমে চন্দনাইশ চলে আসেন। একইদিন রাত ১১টায় গোলাম আজাদ শিশু একদল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে এবং নগদ সাড়ে ১৫ লক্ষ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে তিনি চন্দনাইশ থানায় অভিযোগ দিয়েও কোন রকম প্রতিকার পাননি বলে উল্লেখ করেন। তাছাড়াও বেশ কয়েকটি টেলিভিশনের স্ক্রলের শিরোনামের রুনা হত্যা মামলার সাক্ষী গোলাম আজাদ শিশু অপহরণ মামলায় চেয়ারম্যান আমিন আহমেদ চৌধুরী চন্দনাইশে গ্রেফতার শীর্ষক সংবাদটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবী করেন। কারণ তার বিরুদ্ধে কোন মামলা হয়নি এবং তিনি গ্রেফতার হননি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে সত্যতা যাচাই সাপেক্ষে স্ক্রলে প্রচারিত সংবাদটি প্রত্যাহারের দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে জোয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের সকল ইউপি সদস্য, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মধ্যে সাবেক শিক্ষক সমিতির নেতা আবুল হোসেন, ফজল আহমেদ মাষ্টার, যুবলীগ, আ’লীগের শতাধিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।