গরিব মানুষের জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক নয় বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমি অনুরোধ করব আপনাদের কাছে, আপনারা দেখে নিন কাদের টিআইএন আছে? টিআইএন থাকতে হয় কাদের? কাদের টিআইএন বাধ্যতামূলক? এ লিস্টটা যদি সামনে নেন তাহলে দেখবেন টিআইএন বাধ্যতামূলক আমদানিকারক, রপ্তানিকারক, ট্রেড লাইসেন্স, আমদানি-রপ্তানির লাইসেন্স ধারীদের টিআইএন বাধ্যতামূলক।  

তিনি বলেন, অন্যান্য ট্রেড লাইসেন্সধারীদের টিআইএন বাধ্যতামূলক, ভবিষ্যৎ এজেন্সির জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক, পিস্তল লাইসেন্সের জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক, সিটি করপোরেশন এলাকার বাড়ি-গাড়ি মালিকদের জন্য, গাড়ির জন্য বাধ্যতামূলক, বাড়ির জন্য বাধ্যতামূলক। সুতরাং গরিব মানুষের জন্য টিআইএন বাধ্যতামূলক নয়। আমি যে ক্যাটাগরিগুলো বললাম এ ধরনের ক্যাটাগরিতে যে মানুষগুলো আছে তাদের জন্য দুই হাজার টাকা বছরে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিয়ে উন্নয়নের অংশীদার হওয়া এটি গৌরবের বিষয় হওয়ার কথা, বোঝা মনে করার কথা নয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী ড আব্দুর রাজ্জাক, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, অর্থসচিব ফাতিমা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার প্রমুখ।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।  

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বাজেটের আকার চূড়ান্ত করা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। আর চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৭ হাজার ৫০৭ টাকা।  

মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছর ছিল ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। মূল্যস্ফীতি ধরা হয়েছে ৬ শতাংশ।

প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে। আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।