চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা বি-ব্লক কল্যাণ সমিতি অনিয়ন আর সেচ্ছাচারিতার মধ্যে দিয়ে অনুমোদনহীন -  অবৈধ কমিটি জোরপূর্বক সমিতি চালাচ্ছে বলে অভিযোগ  পাওয়া গেছে ।
সমিতির সদস্য জহির উদ্দিন বাবর নামে এক ব্যক্তি সমাজ সেবা অধিদপ্তরের এই অভিযোগ করেন।অভিযোগের ভিত্তিতে সরজমিনে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা স্বীকার করে প্রতিবেদন দাখিল করলেও এখনো কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেননি সমাজ সেবা অধিদপ্তর।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সমিতির গঠনতন্ত্র লংঘন করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি থাকার কথা থাকলে নিজেদের পছন্দের লোক দিয়ে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে বর্তমান পরিষদ। এছাড়াও রেজিষ্টার সংগঠন হিসেবে সমিতির এজিএমসহ সকল বিষয়াদি জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অনুমোদন নেয়ার কথা থাকলেও তা নেননি। এ যাবত কোন প্রকার অডিট রির্পোটও জমা দেয়নি সমিতির নেতৃবৃন্দ। জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অনুমোদন নেননি বর্তমান কমিটিও। সমিতির নীতিমালা ভঙ্গ করে প্রতি প্লট ও প্লাটের বিপরীতে একাধিক সদস্য করে নির্বাচনে জিতার জন্য নিজেদের আখের গোছাতে এই অবৈধ কমিটি কাজ করেছে ।

গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো: ফরিদুল আলম বলেন, তারা যেহেতু সমাজ সেবার অধিভূক্ত একটি সংগঠন তাদের সকল কার্যক্রম অনুমোদন নিতে হবে, অডিট রিপোর্ট জমা দিতে হবে এবং এ জি এম সহ সকল প্রকার মিটিং এর বিষয়েও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অবহিত করতে হবে। কিন্তু তারা কোন প্রকার সমাজ সেবা অধিদপ্তরের আইন নিয়ম না মানার কারণে এবং কমিটিও অনুমোদন না থাকায় অফিসিয়ালী বর্তমান কমিটি অবৈধ। তাদের সকল কার্যক্রমও বৈধ হয় না।


এ ব্যাপারে তিনি আরো  বলেন, আজকে কিছু বিষয় আলোচনা করেছি আরো বসতে হবে। দীর্ঘদিনের অনিয়ম গুলো নিয়মে পরিনত করতে কয়েকদফা বসবো। উভয় পক্ষের কথা শুনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিব।তাদের অনিয়মসহ যে সকল সমস্যা তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে সে গুলো সমাধান করে একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে কল্যাণ সমিতিকে সচল রাখার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।


এ সময় সমিতির সভাপতি এডভোকেট জিয়া উদ্দিন আহমদ, সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার ইমসাইল, অভিযোগকারী জহির উদ্দিন বাবরসহ  সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।