বন্দরে আটক তৃতীয় মদের চালানে ১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা হয়েছিল।
রোববার (২৪ জুলাই) রাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. সাইফুল হক নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, টেক্সটার্ড ইয়ার্ন অব পলিয়েস্টার ১০০ শতাংশ রিসাইকেল পোস্ট ঘোষণায় আমদানি করা চালানে ১ হাজার ৪৩০ কার্টনে ১৫ হাজার ২০৪ লিটার বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। যার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ২ কোটি ৩ লাখ টাকা।
এ চালানে ১২ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছিল।
বেপজার ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) জালিয়াতি করে নীলফামারী জেলার উত্তরা ইপিজেডের ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিডি লিমিটেডের নামে চালানটি বন্দরে এসেছিল।
চালানটি খালাসের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার দোভাষ লেনের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান জাফর আহমেদ অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।
গত ২০ জুলাই শুল্কায়ন করে শুল্ক-কর বাবদ ৩ হাজার ২৮৭ টাকা ৯৯ পয়সা পরিশোধ করে।
কিন্তু চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের আওতায় জাল আইপির বিষয়টি নিশ্চিত হন কর্মকর্তারা। এরপর ২৩ জুলাই চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর শাখা অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে চালানটি লক করে দেয়, যাতে খালাস নিতে না পারে।
রোববার (২৪ জুলাই) এই চালানের কনটেইনারটি ফোর্স কিপ ডাউন করে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়।
আইপি জাল করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া, নারায়ণগঞ্জে থেকে আটক করা আরো দুটি চালানে ১ হাজার ৩৩০ কার্টনে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৩১ হাজার ৬২৫ দশমিক ৫ লিটার বিদেশি মদ পাওয়া যায়। যাওয়ার শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
পণ্য চালান দুটিতে মিথ্যা ঘোষণায় ২৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছে। এ দুটি চালানেও সিঅ্যান্ডএফ হিসেবে ছিল চট্টগ্রামের ডবলমুরিংয়ের ৬৯৯ কেবি দোভাষ লেনের জাফর আহমেদ।