বাংলাদেশে উইম্যান চেম্বারের মধ্যে সবচাইতে শক্তিশালী উইম্যান চেম্বার “চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি” । ২০ মার্চ ২০২৩ তারিখ বেলা ১২.০০ ঘটিকায় হোটেল আগ্রাবাদের ইছামতি হলে চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর উদ্যোগে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমএমই ফাউন্ডেশন চেয়ারপার্সন একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর কর্মকান্ডকে বাংলাদেশের অন্যান্ন্য জেলার মহিলা চেম্বারগুলো উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে অনুকরন করে। তিনি বলেন, জিডিপি-তে বাংলাদেশে মোট নারীদের মধ্যে শতকরা ৩০ শতাংশ নারী কন্টিবিউশন করে। নারীদের উন্নয়নে সঠিকভাবে কাজ করলে আগামীতে এর অংশগ্রহন বাড়বে। বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে চট্টগ্রামের গুরুত্ব অপরিসীম। চট্টগ্রামের নারীরা এগিয়ে গেলে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটবে।
সভাপতি বক্তব্যে চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ও এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক মনোয়ারার হাকিম আলী, চট্টগ্রামে এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যানকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রমের নারী উদ্যোক্তারা রক্ষণশীল পরিবেশে স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে তারা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে চেষ্টা করছে। সঠিক সহযোগিতা পেলে তারা আরো এগিয়ে যাবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশন এসএমই খাতের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে, আগামীতে আমাদের এই কার্যক্রম বর্ধিত আকারে করার পরিকল্পনা রয়েছে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এসএমই এর উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক। যার ফলে প্রণোদনা প্যাজেকসহ এই খাতের উন্নয়নে নানান কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট আবিদা মোস্তফা। তিনি তার বক্তব্যে চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি-কে সহযোগিতা করার জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি, এক্সেস রোড ইউনিট এর সভাপতি ও বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি, চট্টগ্রাম বিভাগের সহ-সভাপতি মো. সাইফুদ্দিন চৌধুরী দুলাল সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে গার্মেন্টস শিল্পের পরেই রপ্তানী আয়ে ফার্নিচার শিল্প অনেকদুর এগিয়ে গেছে। রপ্তানীক্ষেত্রে ফার্নিচার পণ্যে ১৫% ভর্তূকি দেওয়ায় মাননীয় প্রধনমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চট্টগ্রামের এক্সেস রোড অঞ্চলের ফার্নিচার শিল্পকে ক্লাস্টার ঘোষণা করে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রধান অতিথিকে অনুরোধ জানান।
সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম ক্ষুদ্র পাদুকা শিল্প মালিক গ্রুপের সভাপতি মঞ্জুর খান চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র পাদুকা শিল্পকে ক্লাস্টার ঘোষণা করে, তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য এসএমই ফাউন্ডেশনের প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর প্রাক্তন ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও সদস্য আইভি হাসান তার বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রদত্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিকে একটু ঢেলে সাজানোর উপর গুরুত্বারোপ করার অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যন্ন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি, চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম-সম্পাদক ও বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি, এক্সেস রোড ইউনিট এর সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট মো. ইকবাল, এসএমই ফউন্ডেশনের সহকারী মহাব্যবস্থাপক রাহুল বড়ুয়া, চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর ভাইস-প্রেসিডেন্ট নিশাত ইমরান, প্রাক্তন সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও পরিচালক গুলশানা আলী, রোকসানা আক্তার চৌধুরী রুহী, পরিচালক শামীম মোর্শেদ, কাজী তুহিনা আক্তার, সীমা খাতুন, সাবিনা কাইয়ুম, লুৎমিলা ফরিদ, নূজহাত নূয়েরী কৃষ্টি, ফাতেমা ইসলাম লিজা প্রাক্তন পরিচালক ও সদস্য জাহেদা আক্তার মিতা, ফেরদৌস ইয়াসনিম খান ও সদস্যবৃন্দ।