প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষের মধ্যে মার্কিন সেনাদের উপর হামলার বিরুদ্ধে সতর্ক করে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস এই কথা জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বাইডেনকে উদ্ধৃত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সরাসরি একটি বার্তা সম্প্রচার করা হয়েছে। যতদূর যেতে যাচ্ছি, আমি তত দূর যাবো।’ তবে কীভাবে এই বার্তা দেয়া হয়েছে তা বলতে অস্বীকার করেছেন কিরবি।
পরে বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেছেন, মার্কিন বাহিনী ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ব্যবহৃত পূর্ব সিরিয়ার দু’টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে।
পেন্টাগন বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ার সাথে সাথে ইরাক ও সিরিয়ায় মার্কিন ও মিত্র বাহিনীর ওপর এই মাসে কমপক্ষে ১৬ বার হামলা হয়েছে। এজন্য ‘ইরান-সমর্থিত মিলিশিয়া গোষ্ঠী’কে দায়ী করা হয়েছে।
বাইডেন বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তিনি খামেনিকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যদি হামলা অব্যাহত থাকে তবে এর প্রতিক্রিয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্র সফররত অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজকে সাথে নিয়ে বাইডেন বলেন, ‘আয়াতুল্লাহর প্রতি আমার সতর্কবার্তা ছিল তারা যদি ওই সৈন্যদের দিকে অগ্রসর হতে থাকে, আমরা জবাব দেব এবং তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। ইসরায়েলের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই’।
এদিকে হামাসের হামলার পর গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের বিমান ও কামান হামলার বিষয়ে ইরান জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, ‘আমি অকপটে আমেরিকান রাষ্ট্রনায়কদের এবং সামরিক বাহিনীকে বলছি যারা এখন ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালাচ্ছে, আমি তাদের সতর্ক করছি। আমরা এই অঞ্চলে যুদ্ধের সম্প্রসারণ ও পরিধিকে স্বাগত জানাই না।’
‘তবে আমি সতর্ক করে দিচ্ছি যদি গাজায় গণহত্যা চলতেই থাকে, তারা এই আগুন থেকে রেহাই পাবে না।’
হামাস হামলার পর থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের কাছাকাছি দু’টি বিমানবাহী রণতরী সরিয়ে নিয়ে এসেছে এবং বলেছে যে, এটি ইরান এবং তার মিত্রদের সংঘাতকে প্রসারিত করা থেকে বিরত করার একটি প্রচেষ্টা।
রোববার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লয়েড অস্টিনও এই অঞ্চলে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং অতিরিক্ত বাহিনীকে অবহিত করেছেন যেন তারা দ্রুততম সময়ে মোতায়েন হতে পারে।