এমন একটি দিনের জন‌্য যদি লিওনেল মেসিকে ষোলো বছর অপেক্ষা করতে হয় তাহলে সেই অপেক্ষাতেও আপত্তি নেই। প্রথম নয়, দ্বিতীয় নয়, তৃতীয় বা চতুর্থতেও নয়, নিজের পঞ্চম ও শেষ বিশ্বকাপ খেলতে এসে মেসি বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে প্রথম গোল পাবেন তা বিধাতা লিখে রেখেছিলেন বহু আগেই। 

হয়তো চেয়েছিলেন বড় মঞ্চে মেসির জাদুকরী পা ছুঁয়ে এমন কিছু হবে যেদিন বিশ্ব আড়ম্বরে তার কীর্তিকে মনে রাখবে। সেদিন ইতিহাসের অক্ষয় কালিতে লিখা হবে মেসির নাম, মেসির অর্জন, মেসির বীরত্বগাথা। শনিবার রাতে কাতারের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে চসে আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যেখানে সমর্থক-অসমর্থক উপস্থিত প্রায় ৪৫ হাজার দর্শক একবার হলেও বলেছেন,‘মোহনীয় মেসি।’


পেশাদার ফুটবল ক‌্যারিয়ারে নিজের হাজারতম ম‌্যাচ খেলতে নেমে মেসি পেয়েছেন নক আউট পর্বে প্রথম গোল। তার গোলে প্রি কোয়ার্টারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লিড পাওয়ার পর ২১ বছরের সতীর্থ জুলিয়ান আলভারেস ব‌্যবধান দ্বিগুন করে। অস্ট্রেলিয়া ষোলো বছর পর দ্বিতীয় রাউন্ড খেলতে এসে এক গোল শোধ দিলে স্কোরলাইন ২-১ দাঁড়ায়। শেষ মুহুর্তে অস্ট্রেলিয়া চেষ্টা চালালেও ওই স্কোরলাইনে শেষ হয় তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা। তাতে অধরা শিরোপার মিশনে মেসি এগিয়ে যায় আরো একধাপ। শেষ ষোলো থেকে শেষ আট।

বিশ্বকাপের ওই সোনালী ট্রফির কাছে মেসি যত এগিয়ে যাচ্ছেন তত তার পারফরম‌্যান্স ক্ষুরধার হচ্ছে। মেসি করছেন মুগ্ধ। প্রতিপক্ষ হচ্ছে দগ্ধ। অস্ট্রেলিয়ার জালে ম‌্যাচের ৩৫ মিনিটে গোল করেন মেসি। গোলের এক মিনিট আগে প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড় তার জার্সি টেনে তেতিয়ে দিয়েছিলেন। ক্ষুদ্ধ মেসি প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন। কিন্তু তার মাথায় কি চলছিল বোঝার উপায় ছিল না।

এক মিনিট পর ডি বক্সের কাছে ফ্রি কিক পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। মেসির নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার সাউটার। কিন্তু বল নাগালেই ছিল। মেসি ফিরতি পাসে বল দেন ডি পলকে। তার থেকে আবার বল পেয়ে বক্সে ঢুকে বাঁ পায়ের মাটি ঘেঁষা শটে গোল করেন। এমন পজিশনে মেসির অসংখ‌্য গোল করেছেন। শটটা তার মুখস্থই ছিল। গোলরক্ষক রায়ান বলের লাইনে গিয়ে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মেসির জাদুময় রাতে হার মানতে হয় সবচেষ্টাকেই।

পেশাদার ফুটবল ক‌্যারিয়ারে নিজের হাজারতম ম‌্যাচ খেলতে নেমে মেসি পেয়েছেন নক আউট পর্বে প্রথম গোল। তার গোলে প্রি কোয়ার্টারে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লিড পাওয়ার পর ২১ বছরের সতীর্থ জুলিয়ান আলভারেস ব‌্যবধান দ্বিগুন করে। অস্ট্রেলিয়া ষোলো বছর পর দ্বিতীয় রাউন্ড খেলতে এসে এক গোল শোধ দিলে স্কোরলাইন ২-১ দাঁড়ায়। শেষ মুহুর্তে অস্ট্রেলিয়া চেষ্টা চালালেও ওই স্কোরলাইনে শেষ হয় তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা। তাতে অধরা শিরোপার মিশনে মেসি এগিয়ে যায় আরো একধাপ। শেষ ষোলো থেকে শেষ আট।