সিএমপি ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের টিআই (বাকলিয়া) মনিরুজ্জামানকে প্রত্যাহারসহ ৮দফা দাবীতে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম অটোটেম্পু অটোরিকশা শ্রমিকদের কর্মবিরতি ।


আজ রবিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান চট্টগ্রাম অটোটেম্পু অটোরিকশা শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক মো: জাহেদ হোসেন।

তিনি লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর উত্তর পাড়ে বশিরুজ্জামান চতুর এলাকার দীর্ঘদিনের অনিয়ম , বিশৃঙ্খলা যানজট নিরসনের জন্য পুলিশ কমিশনার , এডিশনাল কমিশনার , উপ-পুলিশ কমিশনারের আপ্রাণ চেষ্টা করে মালিক শ্রমিক সংগঠনের সহযোগিতায় উক্ত এলাকার অনিয়ম , বিশৃঙ্খলা দূর করে যানজট মুক্ত করে ।

সিএমপি ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের (বাকলিয়া) সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত টিআই মনিরুজ্জামান যেন সংকল্প নিয়েছেন “এলোমেলো করে দে মা লুটে পুটে খাই ” । তিনি প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের নিয়ে ভুয়া মালিক সংগঠন শ্রমিক সংগঠনের জন্ম দিচ্ছে । তিনি বর্তমানে সকল নিয়মশৃঙ্খলা ভেঙে দিয়েছেন । অবৈধ হাইচ , নোহা , মাইক্রো , প্রাইভেট চলাচলের জন্য সুযোগ করে দিয়েছেন । কেউ আপত্তি করলে তাকে দেখিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন । তিনিই অবৈধ গাড়ির প্রশ্রয় দাতা । সকল গাড়ির মালিককে অলিখিতভাবে মাসিক কোটা দিতে বাধ্য করছেন । তোলাবাজ , কোটাবাজ , চাঁদাবাজ টিআই মনিরুজ্জামানকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করার দাবি জানান ।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, চট্টগ্রাম অটোটেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের এর তত্ত্বআবধানে পরিচালিত ১৭নং রোড দখল করতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জানে আলমকে গুম করা ষড়যন্ত্র করে। তার বিরুদ্ধে তরকারীর ভ্যান গাড়ী চুরি ও ডাকাতী মামলা দিয়ে গ্রেফতার করলেও,তৎক্ষণিক শ্রমিকদের আন্দোলনে মুখে জানে আলমকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন পূর্বাঞ্চল কমিটির সভাপতি মৃনাল চৌধুরী,বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছা, সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ, চট্টগ্রাম অটো টেম্পু অটো রিক্সা শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ শফি ,সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ, যুগ্ন সদস্যসচিব আহাম্মদ হোসেন, হাজী কামাল উদ্দিন ,জানে আলম, খলিলুর রহমান, নজরুল ইসলাম আব্দুল ওহাব বাবুল, মোঃ ইব্রাহিম, মোঃ হাসান, আসলাম হোসেন মাসুম  ,মোহাম্মদ আবু, মোঃ হারুন, সুলেমান, ওমর ফারুক,  সাইফুল ইসলাম শাহীন,  শাহ আলম চৌধুরী।