চট্টগ্রাম বঙ্গোপসাগরের মোহনায় প্রায় ১১ ঘণ্টা অভিযান চালানোর পর বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে সফল হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত ১০টার দিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী জাহাজ ‘বলবান’র সহায়তায় বিমানটি উদ্ধার করা হয়।

 

জানা যায়, সকাল ১১টা থেকে জোয়ার ও তীব্র স্রোতের বিপরীতে লড়াই করে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল আধুনিক যন্ত্রপাতির সহযোগিতায় জাহাজটি শনাক্তের চেষ্টা চালিয়ে যায়। অবশেষে রাত ১০টায় বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ বিমানটি টেনে তোলে উদ্ধারকারী জাহাজ বলবান।

 

বিমানটি পরিদর্শন করেছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বর্তমানে বিমানটি বিমানবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।

 

আইএসপিআর সূত্রে জানা গেছে,  নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে একটি YAK130 ট্রেনিং ফাইটার উড্ডয়নের পর প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পতেঙ্গা এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে। এরপর বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে বিমানে থাকা উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান এবং স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে বিমানটিকে বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় (মোহনা) নিয়ে যেতে সক্ষম হন।

 

জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে তারা পানিতে অবতরণ করেন। এরপর বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে মোহনায় আছড়ে পড়ে। দুই বৈমানিককে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উদ্ধার করা হয়। তাদের বানৌজা ঈশা খাঁ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।