গত এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে দুই ইনিংসে করেছিলেন ০ আর ৪। তবে এরপর আইরিশদের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের মাটিতে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিসহ ওয়ানডে সিরিজের সেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

সীমিত ওভারের সে ফর্ম এবার সাদা পোশাকেও টেনে আনলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। মারকুটে খেলে তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১১৮ বলে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন শান্ত।

ফিফটি পেয়েছেন তার সঙ্গী মাহমুদুল হাসান জয়ও। তবে তিনি বেশ দেখেশুনে খেলেছেন। ১০২ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন টাইগার ওপেনার। লেগস্পিনার জহির খানের বলে দুইবার ওভার থ্রো হলে দৌড়ে ৫ রান নেন শান্ত আর জয়। তাতেই ফিফটির ঘরে পা পড়ে জয়ের।

এখন পর্যন্ত শান্ত আর জয়ের জুটিতে এসেছে ১৭৯ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৮ ওভারে ১ উইকেটে ১৮৫। শান্ত ১০৪ আর জয় ৬১ রানে অপরাজিত আছেন। রীতিমত ওয়ানডে স্টাইলে রান তুলছে টাইগাররা। রানরেট ৪.৮৯

মিরপুর শেরে বাংলায় সিরিজের একমাত্র টেস্টে টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহীদি।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় টাইগাররা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে নিজের প্রথম বলেই উইকেটের দেখা পান আফগানিস্তানের অভিষিক্ত পেসার নিজাত মাসুদ।

মাসুদের বেরিয়ে যাওয়া বলে হালকা ব্যাট ছুঁয়ে যায় জাকির হাসানের। আফগানিস্তানের ক্রিকেটারদের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেননি। রিভিউ নেয় সফরকারীরা। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগেছে জাকিরের ব্যাটে (১)। দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে নাজমুল হোসেন শান্ত ক্রিজে এসে সেই চাপ সরিয়ে দেন বোলারদের ওপর। মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে গড়েন দারুণ এক জুটি।

চোখ ধাঁধানো সব বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শান্ত চালু রাখেন রানের চাকা। সেই তুলনায় জয় ছিলেন একটু ধীরস্থির। শান্ত তার ফিফটিও তুলেছেন দ্রুতগতিতে, মোটে ৫৮ বলে। যার মধ্যে ৪০ রানই আসে বাউন্ডারিতে। পরের ৫০ রান তুলতে অবশ্য খেলেছেন দুই বল বেশি (৬০ বল)। বাউন্ডারি হাঁকান আরও ৮টি।