আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সব হুমকি-ধমকি পাশ কাটিয়ে বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের প্রথম ব্যাচ স্থাপন করেছে রাশিয়া। এক ঘোষণায় শুক্রবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর আগে পুতিন বলেছিলেন, রুশ ভূখণ্ড বা রাষ্ট্র হুমকির মুখে পড়লেই কেবল এ কাজ করবে তারা।

সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে পুতিন বলেন, ‘গ্রীষ্মের শেষ নাগাদ কৌশলগত পারমাণবিক ওয়ারহেড স্থানান্তর শেষ হবে।’


এ সময় রাশিয়ার ওপর পশ্চিমের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট। পুতিন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আমাদের কোণঠাসা করতে পারেনি। বিশ্ব থেকে আমাদের বিচ্ছিন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। উল্টো এতে আমাদের বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হয়েছে।’ 


এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে নতুন চুক্তির প্রশংসা করে পুতিন বলেন, ‘তারা এখন আমাদের নির্ভরযোগ্য ও দায়িত্বশীল অংশীদার।’ 

কখন এই অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা কেন গোটা বিশ্বকে হুমকি দেব? আমি আগেই বলেছি, রাশিয়ার সার্বভৌমত্বে আঘাত আসলেই এই ব্যবস্থা ব্যবহার করব।’


মার্কিন সরকার অবশ্য এ ঘটনায় কোনও হুমকি দেখছে না। ওয়াশিংটন বলছে, ইউক্রেনে হামলার জন্য পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে ক্রেমলিন... এমন কোনও ইঙ্গিত নেই।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন কোনও লক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না।’

রাশিয়ার পুরনো ও বিশ্বস্ত বন্ধু বেলারুশ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর থেকে দেশটিকে লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করছে মস্কো।

 

কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র কী 

ছোট পারমাণবিক ওয়ারহেড এবং ডেলিভারি সিস্টেম যা যুদ্ধক্ষেত্রে বা ছোট পরিসরে হামলার জন্য ব্যবহার করা হয় সেগুলোকে বলা হয় কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র। এগুলো ব্যাপক তেজস্ক্রিয় পতন না ঘটিয়ে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় শত্রুর লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার জন্য ডিজাইন করা হয়ে থাকে।

ক্ষুদ্রতম কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ১ কিলোটন বা তার কম হতে পারে। সবচেয়ে বড়গুলো ১০০ কিলোটনের মতো হতে পারে। ১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় যুক্তরাষ্ট্র যে পারমাণবিক বোমা ফেলেছিল তা ছিল ১৫ কিলোটনের।

সূত্র: বিবিসি