বর্তমানে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে দুই হাজার ৯৮৭ কোটি মার্কিন ডলার। এই রিজার্ভ দিয়ে আগামী চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার (২১ জুন) জাতীয় সংসদের এ তথ্য জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি রিজার্ভ বাড়াতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বলেন।


একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনে রিজার্ভ নিয়ে প্রশ্ন করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার। এই প্রশ্নের জবাবেই প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। সংসদ অধিবেশনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।


শেখ হাসিনা বলেন, ‘সর্বশেষ গত ৩১ মের হিসাব অনুযায়ী, আমাদের রিজার্ভ আছে ২৯ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার (দুই হাজার ৯৮৭ কোটি ডলার)। এ রিজার্ভ দিয়ে আগামী চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল তিন হাজার ২৯৪ কোটি ডলার। মূল্যস্ফীতির চাপ ও কোভিড পরবর্তী চাহিদা বাড়ার কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি বেড়ে যায়। এতে বাংলাদেশের বাণিজ্য ভারসাম্যের ওপর কিছুটা চাপ তৈরি হয়েছে। এ চাপ মোকাবিলা করতে গিয়ে পরবর্তীতে রিজার্ভ কমতে শুরু করে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ধরে রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবহার শুরু করলে রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাওয়ার হার আরও বৃদ্ধি পায়।’

সরকারি দলের সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পতিত জমি চাষাবাদের উদ্যোগ গ্রহণ করার ফলে প্রায় ৫৫ হাজার হেক্টর জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে। সরকারের কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে ধান, ভুট্টা, আলু, সবজি ও ফলসহ অন্যান্য ফসলের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বে চাল উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে উন্নীত হয়েছে। এ ছাড়া ২২টি কৃষি পণ্য উৎপাদনে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। করোনার অভিঘাত মোকাবিলায় দেশের কৃষিখাত অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। বর্তমান সংকট মোকাবিলায় কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।’