ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রুপিতে আমদানি-রপ্তানির কারণে বাংলাদেশের রিজার্ভ কমবে না। ডলারে আমদানি-রপ্তানির ফলে যে ট্রানজেকশন খরচ ছিল তা রুপিতে লেনদেনের কারণে অনেকটা কমে আসবে।

 বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক এসব কথা বলেন।


এর আগে, সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে বা আমদানি-রপ্তানিতে ভারতীয় রুপির লেনদেনের উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনের সময় ভারতীয় হাই কমিশনার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং দুই দেশের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে মেজবাউল হক জানান, এতদিন ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে টাকাকে ডলার এবং ডলার থেকে রুপিতে ট্রান্সফার করে কার্যক্রম চালানো হতো। ভারতের সঙ্গে রুপিতে আমদানি-রপ্তানি উদ্বোধনের ফলে এখন থেকে টাকা থেকে সরাসরি রুপিতে ট্রান্সফার করে লেনদেন হবে। ফলে টাকা থেকে ডলার আবার ডলার থেকে রুপিতে ট্রান্সফারে যে ট্রানজেকশন ফি দিতে হতো তা থেকে অব্যাহতি পাবেন ব্যবসায়ীরা।

 


সাংবাদিকদের এক প্রশ্নোত্তরে তিনি বলেন, ২০২২ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রুপিতে আমদানি-রপ্তানি করার প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাব বাংলাদেশ ব্যাংক দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে রুপিতে বাণিজ্য করার কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন আজ। ভারত ২২টি দেশের সঙ্গে রুপিতে লেনদেন করবে। আর এর মধ্যে বাংলাদেশ ১৯তম।

টাকা ও রুপির মধ্যে বিনিময়ে হার নির্ধারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, দুই দেশের ডলারের বিনিময় হারের গড়কে ভিত্তি ধরে রুপির বিনিময় হার নির্ধারণ করা হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র আরও জানান, প্রথম দিনে ২৮ মিলিয়ন রুপি লেনদেনের মধ্যে দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ থেকে প্রথম রুপিতে রপ্তানি চালান পাঠিয়েছে বগুড়ার তামিম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। রপ্তানি চালানের মূল্য ছিল ১৬ মিলিয়ন রুপি। এটি আমদানির ঋণপত্র খোলে ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংক। আর রপ্তানিকারকের ব্যাংক ছিল স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) বাংলাদেশ শাখা।

অপরদিকে, রুপিতে দেশের প্রথম আমদানি করেছে নিটল-নিলয় গ্রুপ। আমদানি চালানের মূল্য ১২ মিলিয়ন রুপি। আমদানির ঋণপত্র খোলে এসবিআই’র ঢাকা অফিস। আমদানি ও রপ্তানির চালানগুলো হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাংক।