হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। শরীরে জ্বর পুরোপুরি না কমায় উদ্বিগ্ন মেডিকেল বোর্ড। বিএনপি চেয়ারপারসন মেডিকেল বোর্ডের ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণে’ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। একজন চিকিৎসক আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) রাতে এ তথ্য জানান।


চিকিৎসক জানান, খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিটকে (সিসিইউ) নেওয়ার প্রয়োজন দেখা দিলেও তিনি সায় না দেওয়ায় নেওয়া হয়নি। তবে, সিসিইউর সব ব্যবস্থা কেবিনেই রাখা হয়েছে। চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।  তিনি বলেন, ‘ম্যাডামের লিভারের সমস্যা জটিল হচ্ছে। এটার আসলে শতভাগ চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয়। বোর্ড সর্বোচ্চ চেষ্টা কর যাচ্ছেন। কিন্তু একাধিক জটিলতা থাকায় সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এজন্য তাকে বারবার মাল্টিপল ডিজিস সেন্টারে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। রক্তের হিমোগ্লোবিন, প্রেশার ও ডায়বেটিসসহ স্বাস্থ্যের প্রায় সবকয়টি প্যারামিটারই ওঠানামা করছে। এটিবায়োটিক দিয়ে তা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা চলছে। এ পর্যন্ত অনেকগুলো টেস্ট করা হয়েছে। বোর্ড কয়েকটির রেজাল্ট দেখে উদ্বিগ্ন। এজন্য তাকে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থাকতে হবে।’ 


এদিকে, আজ সোমবার বিকেলে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, দলের চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে সন্ধ্যা ৭টায় সংবাদ সম্মেলন করবেন তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর এভার কেয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেছে বলে জানানো হয়। 

জানা গেছে, খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে আছে তার গৃহপরিচারিকা ফাতেমা আক্তার ও স্টাফ রূপা। আর মাসুদ নামে নিরাপত্তারক্ষী গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে হাসপাতালে খাবার নিয়ে যান।  

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে গত ১০ জুন হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। প্রায় দুই সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে ২৪ জুন সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। এর ঠিক দেড় মাস পর আবারও তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।