গ্রিসের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় একটি জঙ্গল থেকে ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২২ আগস্ট)। নিহত সবাই অবিবাসনপ্রত্যাশী বলে ধারণা করছে প্রশাসন। গ্রিসজুড়ে দাবানল ক্রমশ বাড়ছে।


গ্রিসের যে অঞ্চল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার হয়েছে, সেটি একটি জাতীয় বনভূমি। তুরস্ক সীমান্তের খুব কাছে এই বনভূমি। তুরস্কের রাস্তা দিয়ে তারা অবৈধভাবে ওই জঙ্গলে প্রবেশ করেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।


দাবানলের প্রভাবে গ্রিসে এ পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার মধ্যে ১৮ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে মঙ্গলবার। এথেন্সের উত্তরে একটি জঙ্গল থেকে আরও একজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনিও অভিবাসনপ্রত্যাশী বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া একজন মেষপালকের মরদেহও উদ্ধার হয়েছে। নিজের গবাদি পশুদের বাঁচাতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে তার।

গ্রিসের উত্তরপূর্বাঞ্চল এবং এভিয়া ও কাইথোনস অঞ্চলে আগুন সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে। উত্তরপূর্ব অঞ্চলের আটটি গ্রাম ও শহরের হাসপাতাল থেকে সরিয়ে রোগীদের অন্য শহরের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অনেকেই বন্দর শহর কাভালার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বাকিদের আরও দূরের শহরে পাঠানো হয়েছে। একাধিক দ্বীপ থেকে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আগুন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে আলেকজান্দ্রো পলিসের নার্স নিকস বলেন, ‘২৭ বছর ধরে কাজ করছি, এখনও পর্যন্ত এমন ঘটনা দেখিনি। এ এক ভয়াবহ পরিস্থিতি। মনে হচ্ছে বোমা ফেটেছে, যুদ্ধ চলছে।’

এথেন্সের খুব কাছে পৌঁছে গেছে আগুন। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, এখনই ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। গত কয়েক বছর ধরে গরম পড়লেই আগুন লাগছে ইউরোপের জঙ্গলে। তবে এবার গ্রিসে যেভাবে আগুন লেগেছে, তা অন্যবারের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই এমন হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।