৪০ বছরের পুরনো খেলাপী ঋণ আদায়ে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের দায়ের করা ৩০ বছরের পুরনো ১৩ টি অর্থঋণ জারি মামলা আজ বৃহস্পতিবার নিষ্পত্তি হয়েছে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে। এসব মামলায় জনতা ব্যাংক ২ কোটি টাকার বেশি খেলাপী ঋণ আদায় করেছে।

এই তথ্য নিশ্চিত করেন অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম।

 আদালত সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮০ এর দশকে বিতরণকৃত ঋণ খেলাপী হলে তা আদায় করার জন্য অর্থঋণ আদালতে মামলা দায়ের করে জনতা ব্যাংক লিঃ। মামলার রায়ে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঋণ খেলাপীরা ডিক্রিকৃত টাকা পরিশোধ না করায় ৯০ দশকের শুরুতে অর্থঋণ জারি মামলা দায়ের করা হয় ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে।
 ব্যাংকের আবেদনক্রমে ঋণ খেলাপীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারি করা হলেও দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ঋণ খেলাপীরা ঋণ পরিশোধ করেননি এবং গ্রেফতারও হননি। আদালতের নিবিড় তদারকি এবং শক্ত অবস্হানের কারণে ৮ মামলার ঋণ খেলাপী  মোঃ জাহাঙ্গীর চৌধুরী ২০২১ গ্রেফতার হওয়ার পত্র ১ কোটি টাকা পরিশোধ করে মুক্তিলাভ করেন এবং দীর্ঘ ৪০ বছরের পুরনো খেলাপী ঋণ পরিশোধে উদ্যোগী হন। জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ নীতি মালার আওতায় সকল দায়দেনা পরিশোধ করায় চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান ব্যবসায়ী মোঃ জাহাঙ্গীর চৌধুরীকে ৮টি মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। একই দিনে জনতা ব্যাংক লালদিঘী শাখার ঋণ খেলাপী শেখ আবদুল মোমিন এর বিরুদ্ধে ১৯৮০ দশকের খেলাপী ঋণ আদায়ের জন্য দায়েরকৃত ৫টি মামলায় সকল দায়দেনা পরিশোধ করায় ব্যবসায়ী শেখ আবদুল মোমিনকে অব্যাহতি দেন আদালত।

৩ যুগের পুরনো ১৩ টি মামলা নিস্পত্তি বিষয়ে জনতা ব্যাংকের প্যানেল আইনজীবী  মোহাম্মদ বদরুল রিয়াজ বলেন, চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে বর্তমান জজ মহোদয় যোগদান করার পর মামলা নিস্পত্তি এবং খেলাপী ঋণ আদায়ে অভূতপূর্ব সাফল্য পাওয়া গেছে। যেসব স্বভাবজাত ঋণ খেলাপী রাষ্ট্রের নাগরিকদের আমানতের টাকা মেরে দিয়ে এতদিন নিশ্চিন্ত ছিল বর্তমান জজ মহোদয়ের কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে তারা ব্যাংকের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হচ্ছেন। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমুহের কর্তা ব্যক্তিরাও মামলা নিষ্পত্তিতে তৎপর হয়ে উঠেছেন ।


এ বিষয়ে জনতা ব্যাংক লিঃ চট্টগ্রাম অঞ্চলের মহাব্যবস্হাপনক  এস এম আবদুল ওয়াদুদ বলেন , অর্থঋণ আদালতের মাধ্যমে আমাদের ব্যাংক সহ সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খেলাপী ঋণ আদায় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দুই বছরে আমাদের ব্যাংকের ৪৯ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে অর্থঋণ আদালতে। যার মধ্যে ৩২ টি ৩০ বছরের পুরনো অর্থঋণ জারি মামলা রয়েছে। আদালতের উদ্যেম এবং কঠোর অবস্হানের কারণে ইচ্ছাকৃত খেলাপীরা খেলাপী ঋণ পরিশোধে এগিয়ে আসছেন।