নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক  ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বরা তথ্যের ঘাটতির কারণে বিবৃতি দিয়েছেন বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ড. ইউনূসকে সরকারের হয়রানি করার কোনো সুযোগ নেই। ড. ইউনূসের জন্য যারা বিবৃতি দিচ্ছেন তাদের কাছে এ বিষয়ে ইনফরমেশন গ্যাপ আছে।

মন্ত্রী বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমরা সম্মান করি একজন বিখ্যাত নোবেল লরিয়েট হিসেবে। তিনি আমাদের জন্য সম্মান নিয়ে এসেছেন। কিন্তু বড় বড় বিদেশি নেতারা যদি আমাদের বলেন— মামলা তুলে নাও, এটি আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই নোবেলবিজয়ীর বিরুদ্ধে সরকার কোনো মামলা করেনি। তার কোম্পানি শ্রমিকদের লভ্যাংশ না দেওয়ায় একটি এবং কর ফাঁকি দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন এবং সরকার হিসেবে আমরা বিচারিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে পারি না।

তিনি বলেন, আমরা স্ব-উদ্যোগে এর ওপর কোনো মন্তব্য করব না। এগুলো আইনি বিষয়। আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাই না।


মোমেন বলেন, আমরা কোনো চাপ মনে করি না। আমরা মনে করি এখানে তথ্যগত ঘাটতি আছে। বড় বড় নেতাদের হয়তো কেউ বলেছে, বাংলাদেশ এ রকম নামিদামি লোককে হয়রানি করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে হয়তো তারা বিবৃতি দিয়েছে। এখানে বোধহয় তথ্যের ঘাটতি আছে, অজ্ঞতার কারণ আছে।

তিনি বলেন, অনেকে মনে হয় মনে করছেন— রাজনৈতিক কারণে কিংবা অন্য কোনো কারণে হয়রানি করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা যতদূর জানি, মামলাগুলো সরকার করেনি। এসব বিষয়ে যে চিঠিপত্র দেওয়া হয়েছে, তারা মনে হয় জানেন না। আমরা আশা করব, যে যারা চিঠি লিখেছেন— তারা বিষয়টা আরও জানবেন এবং তারা যদি জানতে চান, তাহলে আমরা অবশ্যই তথ্যগুলো পৌঁছে দেব।