অর্থ বিল পাস নিয়ে দ্বন্দ্বে ‘শাটডাউনের’ শঙ্কায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বা কেন্দ্রীয় সরকার। তবে, সেই শঙ্কা কাটিয়ে ওঠেছে দেশটি। পার্লামেন্টের দুই কক্ষেই স্বল্পমেয়াদী তহবিল চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জেরে শাটডাউন এড়ানো গেছে। আজ রোববার (১ অক্টোবর) এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।


প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টে একটি বিল পাস হয়েছে। এই বিলের মাধ্যমে নভেম্বরের মধ্য সময় পর্যন্ত ফেডারেল সরকারকে অর্থায়ন করা হবে। তবে, এ সময়ে ইউক্রেনকে নতুন করে সহায়তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে কোনো অর্থ দেওয়া হবে না। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে ৮৮ ভোট পেয়ে বিলটি পাস হয়। আর বিলের বিপক্ষে ভোট পড়েছিল মাত্র নয়টি।


ফেডারেল সরকারকে ৪৫ দিনের অর্থায়নের প্রস্তাবটি প্রতিনিধি পরিষদ বা নিম্নকক্ষে তুলেন স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি। তবে, রিপাবলিকান নেতৃত্বাধীন পার্লামেন্টে নিজের দলের রাজনীতিকদের কারণে বিলটি পাস করাতে পারেননি ম্যাকার্থি।

বিবিসি বলছে, বিলটিতে স্বাক্ষর করা হলে সেটি আইনে পরিণত হবে। আর এতেই ফেডারেল সরকারের পরিষেবা বাধাগ্রস্ত হবে না।

শাটডাউনের ফলে হাজার হাজার ফেডারেল কর্মচারী বিনা বেতনে ছুটিতে চলে যেত। সামরিক বাহিনীতে নিযুক্তদের বেতন দিতে দেরি হতো। জরুরি বাদে সব সরকারি পরিষেবা বন্ধ হয়ে যেত। চুক্তি না হলে স্থানীয় সময় রোববার ১২টা ১ মিনিটে (গ্রিনিচ মান অনুযায়ী সময় ০৪:০১) শাটডাউন শুরু হতো।

শাটডাউনের শঙ্কা থাকলেও শনিবার বিকেলে একটি নাটকীয় পরিবর্তন হয়। প্রতিনিধি পরিষদে স্বল্পমেয়াদী বিল পাস করে   রিপাবলিকানরা। যা ফেডারেল সরকারকে আরও ৪৫ দিন অর্থ দিয়ে সাহায্য করবে। প্রতিনিধি পরিষদে এই বিলটি পাসে রিপাবলিকানদের থেকে বেশি জোর দিয়েছে ডেমোক্র্যাটরা। ৯০ রিপাবলিকান সদস্য বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন।

এই পদক্ষেপটি ডানপন্থি রিপাবলিকানদের একটি গ্রুপের জন্য একটি বড় ধরনের ধাক্কা ছিল। এই গ্রুপটি কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যয় কমানোর দাবি জানিয়ে আসছিল। এমনকি, ম্যাকার্থির প্রস্তাবে বিরোধিতা করেছিল তারা।

সিনেটে বিলটি পাস হওয়ার পর এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘প্রতিনিধি পরিষদে কিছু রিপাবলিকান একটি সংকট তৈরি করতে চেয়েছিল।’ ওই বিবৃতিতে ইউক্রেনকে সহায়তার তহবিল পাস করানোর জন্য ম্যাকার্থিকে আহ্বান জানানা তিনি। বাইডেন বলেন, ‘আমরা কোনো অবস্থাতেই ইউক্রেনের প্রতি আমেরিকান সমর্থনকে বাধাগ্রস্ত হতে দিতে পারি না। আমি আশা করি, স্পিকার ইউক্রেনের জনগণের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি বজায় রাখবেন।’


সিনেটে বিলটি পাস হওয়ার পর ডেমোক্র্যাট নেতা চুক স্কুমার বলেন, ‘আমেরিকানরা এখন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারবেন। বাজেট কাটছাঁটের জন্য কিছু রিপাবলিকান চাপ দিয়েছিল তা এড়ানো গেছে।’