নিজস্ব প্রতিবেদক:
 লালখান বাজারে পাহাড় কাটার নোটিশে শুনানীর দিন পাহাড় কাটা ও অপরাধীদের বিষয় এড়িয়ে গিয়ে উল্টো  সংবাদাতা নুরুল আলমকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে পাহাড়ের পাশের স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য রেলওয়ে কতৃপক্ষকে চিঠি ইস্যু করে দায় সারলেন চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস।

৪ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর পরিবেশ অধিদপ্তরে ঘটনাটি ঘটে ।

জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানাধীন ঘনবসতিপূর্ণ লালখান বাজার মতিঝর্ণা এলাকার ৭নং গলিতে সরকারি পাহাড় কেটে ঘর তুলতে গেলে জাহিদুল ইসলাম (জাবেদ) নামের এক ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মহানগর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস পাহাড় কাটার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট মামলা করেন এবং পরিবেশ দপ্তরে হাজির হওয়ার নোটিশ দেন। সেই নোটিশে অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলাম হাজির হলে তার সামনেই সংবাদ দাতা নুরুল আলমকে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করেন। পাহাড় কাটার বিষয়কে সম্পূর্ন  এড়িয়ে গিয়ে সেখানে স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়েকে চিঠি দেয়ার নির্দেশ দেন।  স্থানীয়রা জানান, মতিঝর্ণা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জাহিদুল ইসলাম জাবেদ পাহাড় কাটছে। তিনি পাহাড় কেটে অনেকগুলো ঘর তৈরি করে একটি কলোনি করেছেন। সেই কলোনি থেকে প্রতিমাসে ১ লাখ টাকার মত ভাড়া তুলেন। পরিবেশ অধিদপ্তরও বিভিন্ন সময়ে তাকে পাহাড় কাটার কারনে নোটিশ দিয়েছিলেন। জাবেদকে একবার ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করেছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর। ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তর এসে জাবেদকে নোটিশ করেছেন।  

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, জাবেদ সকালে পাহাড় কেটে ঘর তুলতে গেলে পার্শ্ববর্তীর অভিযোগে খুলশী থানা পুলিশের এসআই হেলাল এসে কাজ বন্ধ করে দেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে পাহাড় কাটার অপরাধে জাহিদুল ইসলামকে জরিমানা করা হয়।

সংবাদদাতা নুরুল আলম বলেন, আমি একজন সংবাদকর্মি। আমি পাহাড় কাটার বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরকে তথ্য দেই। সেই তথ্য অনুযায়ী তারা প্রমান পেয়ে জাহিদুল ইসলামকে নোটিশ দেয়। সেই নোটিশ অনুযায়ী আজ শুনানীর দিনে আমিও হাজির হলে। পরিবেশের সাখাওয়াত আমাকে সংবাদদাতা হিসাবে স্বাক্ষর করতে বলে। আমিও দিয়ে দেই। অথচ যেখানে জাহিদ পাহাড় কাটছে সেখানে আমার কোন স্থাপনা নেই। এই জায়গার সাথে আমার কোন সম্পর্কও নেই। অথচ পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস আমাকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে কেন আমি সংবাদ দিলাম এ নিয়ে ক্ষিপ্র হয়ে গেলেন। পাহাড় কাটার বিষয় এড়িয়ে গিয়ে সেখানে স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য রেলওয়েকে চিঠি দিবার জন্য  নির্দেশ দিলেন। তাহলেকি পরিবেশ অধিদপ্তরকে পরিবেশের বিপর্যয় নিয়ে কোন কিছু জানানো যাবেনা। উল্টো হেনস্থা হতে হবে।