চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি, ভূমিধস মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের পর বান্দরবান শহরও তলিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম নগর চার দিন আগে থেকেই তলিয়ে আছে। পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় ১০ লাখ মানুষ। আনোয়ারায় পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কক্সবাজারে পাহাড় ধসে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। চকরিয়ায় দুই শিশু এবং উখিয়ায় মা-শিশুর মৃত্যু হয়েছে। 


মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরের সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সঙ্গে বান্দরবানের যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, খুলনাসহ উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বেশির ভাগ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ফেনীর ফুলগাজীতে দুই জায়গায় মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে অন্তত ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।


পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, ফেনী, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এসব অঞ্চলের নদীর পানি বিপত্সীমার ওপরে থাকতে পারে। অবনতি হতে পারে বন্যা পরিস্থিতির। তবে বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।