চান্দগাঁও কাপ্তাই রাস্তার মাথায় গ্রাম সিএনজিতে চলছে চাঁদাবাজি ও টোকেন ব্যবসা। পরিবহন চাঁদাবাজদের গ্রেপ্তারে র্যাব -৭ অভিযান চালিয়ে নগরের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩০ পরিবহন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী গ্রেফতার করে। ঐদিন র্যাব-৭ কাপ্তাই রাস্তার মাথার থেকে ১৩জন পরিবহন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। র্যাবের অভিযানের ফলে চাঁদাবাজরা আত্মগোপনে চলে গেলেও অতি সম্প্রতি তারা আবার সক্রিয় হয়ে চাঁদাবাজি করছে। তারই ধারাবাহিকতায় নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথায় পরিবহন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
পরিবহন মালিক শ্রমিক র্যাবের অভিযানে সন্তুষ্ট হলেও বর্তমান চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীরা সক্রিয় হয়ে ওঠায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে তারা । মালিক শ্রমিক ভয়ে প্রশাসনের দারস্থ হতে পারছে না। অভিযোগ প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ কিছু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে, যাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে এসব পরিবহন চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী বেপরোয়া।তারা এই মুহূর্তে ফের র্যাবের অভিযান ও টহল ব্যবস্থার দাবি জানান।
কাপ্তাই রাস্তার মাথায় পরিবহন চাঁদাবাজার সন্ত্রাসী জাফরের নেতৃত্বে মজিব , মোঃ সাগর , মোঃ বাবুল ,রাসেল , মানিক, মুরাদসহ শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে চাঁদাবাজি করছে। তারা গাড়ি প্রতি ৬০০ টাকার টোকেন ও প্রতি ট্রিপে ১০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। এসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কথা বললেই মারধর, হত্যার হুমকি ও মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে হয়রানি হুমকি ।
টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সিএনজি অটো রিক্সার চালক সাদ্দামের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে । হামলার আসামিরা গ্রেপ্তার এড়িয়ে প্রশাসনের নাকের ডগায় কাপ্তাই রাস্তা মাথায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালে অদৃশ্য শক্তির বলয়ে থাকায় প্রশাসন আসামিদের গ্রেফতার না করায় বাদী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ।
মামলার এক নম্বর আসামি জাফর গ্রেপ্তার হলেও পুলিশের ভাষ্যমতে আসামিরা পলাতক হলেও মজিব , মোঃ সাগর , মোঃ বাবুল ,রাসেল , মানিকসহ অন্যরা কাপ্তাই রাস্তার মাথায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনকি চাঁদা আদায় ও সংগ্রহকারীদের নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করছে।
সাদ্দামের ওপর হামলার ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁদগাও থানার সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ আব্দুল মোনাফ আসামিরা জামিনে আছে জানালেও একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নেয় নাই।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ই মার্চ চাঁন্দগাও কাপ্তাই রাস্তার মাথা সিডিএ গালস স্কুলের সামনে সিএনজি অটো রিক্সার চালক সাদ্দাম হোসেনের ওপর চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা অতকিত হামলা চালায়। হামলায় আহত সাদ্দামকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসা শেষে ১৭ই মার্চ চাঁদগাঁও থানায় ছয় আসামির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। আসামিরা হলেন জাফর(৩৩), পিতা- জয়নাল আবেদীন, মজিব রহমান (৩২), পিতা-মোতালেব, মোঃ সাগর (৩০), পিতা- মটুল আহমাদ, মোঃ বাবুল (৩৮), পিতা- অজ্ঞাত,
রাসেল (৩৫), পিতা-মৃত মান্নান, মানিক (৪০), পিতা-হায়াত আহমদ।
১৪৩/৩৪১/৩২৩/ ৩০৭/৩২৪/৩২৬/৩৭৯/ ৫০৬ আসামিদের বিরুদ্ধে এইসব ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। বেআইনী পথ গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করিয়া সাধারণ ও গুরুতর জখম করে ।একুশ হাজার টাকা নিয়ে যাই ও হত্যার হুমকি দেয়।