বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও তার সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজ সফলতার মুখ দেখলেও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রানালয়ের চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের ওয়েবসাইট দেখে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রশ্নবিদ্ধ !
দুই বৎসর আগে অবসরে যাওয়া কর্মচারী ষ্টেনো টাইপিষ্ট-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক সনজিত কুমার দাশ ফরেষ্ট ওয়েবসাইটে । এই ওয়েব সাইটটি শেষ হাল-নাগাদ করা হয়েছে: ২০২৩-০২-০৬ ১৩:২৪:০১ । আর এই উক্ত কর্মচারী দুই বছর আগে অবসরে গেলেও চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরীর পাশের রুমে নিদিষ্ট চেয়ার টেবিল নিয়ে বসেন এবং দায়িত্ব পালন করছেন । নিয়মিত র্কমাচারীদের মত সকালে অফিসে আসেন বিকালে যথাসময়ে বাসাই চলে যান। ওয়েবসাইট থেকে নাম না সরানো একটি দুরভিসন্ধি ।
আগামী সপ্তাহে আসছে চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের লোক দেখানো অভিযান
ফরেষ্ট ওয়েবসাইটে ছবি ,মোবাইল ই-মেইল থাকার কথা থাকলে এই সব কর্মচারীদের ছবি ওয়েবসাইটে নাই । বিশেষ করে প্রধান সহকারী মো: নুরুল হক , অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক আলী হায়দার ভূঁইয়া , হিসাবরক্ষক আলী হোসেন ,সার্ভেয়ার মিজ মোছাঃ হাবিজা খাতুন ।
এক গণমাধ্যমকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ফরেষ্ট ওয়েবসাইটে কর্মচারী ষ্টেনো টাইপিষ্ট-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক সনজিত কুমার দাশ এর নাম দেখে আমি বিস্মিত। কেন তারা এই কাজটা করল আমার বোধগম্য হচ্ছে না। এর সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে চাইলে বিভাগীয় শাস্তি ব্যবস্থা নিতে পারবে মন্ত্রণালয়।
বিভিন্ন সুত্র নিশ্চিত করেছেন তাদের পোষ্য কিছু সাংবাদিক রয়েছে। যারা বনবিভাগের দূনীতি ধামাচাপা দিতে কাজ করে। গণমাধ্যমকর্মীদের হেনস্তা করে তাদের পর্রামশে । নিউজ সংগ্রহে আসা গণমাধ্যমকর্মীদের বিরুদ্ধে বনবিভাগের সবাই কর্মকর্তা ও কর্মচারী এক্যবদ্ধ্য হয়ে তাদের অপরাধ ধামাচাপা দিতে চাঁদাবাজী অভিযোগ তুলে চাদাঁবাজী মামলা দিয়ে হয়রানীর ভয় দেখান।
তার এক সহকর্মী জানান, তিনি এই অফিসে বিনা বেতনে কাজ করে যাচ্ছে,যা হাস্যকর ! তিনি অন্যান্য কর্মচারীর মত সকালে এবং অফিস শেষ করে নিদিষ্ট সময়ে চলে যায়।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে উত্তর বন বিভাগের অবসরে যাওয়া কর্মচারী ষ্টেনো টাইপিষ্ট-কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক সনজিত কুমার দাশ অবসরে আছেন জানিয়ে বলেন ,আপনাকে আমার সম্পর্কে ভূল তথ্য দিয়েছেন। আমাকে প্রশ্ন না করে উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করুন ? তিনি আমাকে রেখেছেন !
এই ওয়েব সাইটটি ক্লিক করলে সত্যতা পাওয়া যাবে। http://forestnorth.chittagong.gov.bd/bn/site/view/StaffList
উত্তর বনবিভাগের একটি সুত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সনজিত কুমার দাশ মূলত মাঠ পর্যায়ে ফরেষ্ট কর্মকর্তা – কর্মচারীদের সাথে ব্যবসায়ীদের মিড়িয়ার দায়িত্ব পালন করেন।
এই বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরীর মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন করলে তিনি রিসিভ করেন নি তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম অঞ্চল বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাথে কথা বলতে বলেন।