গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের চলমান ধারা পর্যবেক্ষণে চলতি অর্থবছর (২০২৩-২০২৪) শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হতে পারে বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। আজ শনিবার (১৬ মার্চ) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে সিপিডির সুপারিশমালা শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন এই মন্তব্য করেন।


ফাহমিদা বলেন, আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২০২৫) মূল বাজেটই হবে কীভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায়। ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা যায়, সেটা বড় বিষয়। যেমন—গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক তিন শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তি মাত্র ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ। আমরা যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই, তাহলে বাকি ৬ মাসে রাজস্ব আহরণে ৫৪ দশমিক চার শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে, যা অত্যন্ত কঠিন। বিগত দিনের ধারা লক্ষ্য করলে দেখা যায় রাজস্ব ঘটতি আগের মতোই চলমান থাকবে, যার পরিমাণ ৮২ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছি।


সরকারি ব্যয়ে সংযম লক্ষ্য করছি জানিয়ে ফাহমিদা বলেন, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় ২৫ দশমিক পাঁচ  শতাংশ দেখতে পাচ্ছি, যা আগের বছরে ২৭ শতাংশের মতো ছিল। যেখান থেকে আরও কমেছে। নিজস্ব আর্থিক ব্যবস্থা ও আইএমএফ পরামর্শে ব্যয় কমেছে। ওই সময় বাজেট ঘাটতি বেশ কমেছে। বাজেট ঘাটতি সাত হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। যেখানে গত অর্থবছরের এই সময়ে ঘাটতি ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর বাজেট ঘাটতি পূরণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেওয়া হয়। এর ফলে ব্যক্তি খাতে ঋণ প্রবাহ কমে গেছে।