চট্টগ্রাম- ১৪ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, জীব বৈচিত্র সংরক্ষণের দায়িত্ব সকলের। বন সংরক্ষণের মাধ্যমে জীব বৈচিত্র রক্ষার পাশাপাশি বনের গাছ সংরক্ষণ করতে হবে নিজেদের স্বার্থে। কারণ গাছ পরিবেশ রক্ষা করে আমাদের অক্সিজেন দেয়। একটি গাছও যেন কেউ কর্তন করতে না পারে সেলক্ষ্যে বন বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্তদের ভূমিকা রাখতে হবে। রক্ষক যেন কোন ভাবেই ভক্ষক না হওয়ায় সে লক্ষ্যে দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতি অনুরোধ জানান। খুব শীঘ্রই ধোপাছড়ি ও দোহাজারী বন বিভাগকে ইকোপার্কে রূপান্তরিত করতে বন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। এর সুফল পাবে এলাকা তথা দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ। গাছ লাগিয়ে ভরবো দেশ, পাল্টে যাবে বাংলাদেশ এ শ্লোগান নিয়ে ২ জুন (শুক্রবার) সকালে পটিয়া- দোহাজারী রেঞ্জ দক্ষিণ বনবিভাগের উদ্যোগে টেকসই বন ও জীবিকা (সুফল) প্রকল্পের আওতায় বননির্ভলশীল দরিদ্র জনগোষ্টির মাঝে জীবিকা উন্নয়নের জন্য পটিয়া রেঞ্জের বরগুনীতে ১৮৩ জন ও দোহাজারী রেঞ্জের আওতাধীন বৈতরণীতে ৬৩ জন এবং হাতিয়াখোলায় ৪৭ জন বন সংরক্ষক গ্রামের উপকারভোগীদের মাঝে ২৫ হাজার ২ শত টাকার  চেক বিতরণ অনুষ্ঠান দোহাজারী রেঞ্জ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। সহকারী বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম- ১৪ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিমরান মোহাম্মদ সায়েক, থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন, চেয়ারম্যান আবদুল আলীম। আলোচনায় অংশ নেন রেঞ্জ কর্মকর্তা যথাক্রমে সিকদার আতিকুর রহমান, নুরে আলম হাফিজ, মহসিন আলী, ঝন্টু দে, মাহাবুবুর রহমান, কৃষকলীগ নেতা নবাব আলী, যুবলীগ নেতা যথাক্রমে আবদুল্লাহ আল নোমান বেগ, লোকমান হাকিম, মনসুর আলী ফয়সাল প্রমুখ।