কানাডায় এখন অর্থনৈতিক খুব চাপ জনসাধারণের উপর। বিশেষ করে যেসব অভিবাসী বা বাঙালিরা বাড়ীঘর কিনেছে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এখন প্রতিমাসে সুদের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সংসারে যারা প্রাপ্তবয়স্ক সবাইকে চাকরি করতে হয়। করোনা পূর্বে জিনিসপত্র দাম যা ছিল এখন তিনগুণ। বিশেষ করে কানাডায় টরন্টোতে আবহাওয়া অন্যান্য প্রদেশের চেয়ে সহনশীল। মানুষ এখানে ভিড় করে বসবাসের জন্য। মানুষ এখন সোজা বাংলায় দিনে আনে দিনে খায়। কাজ না করলে উপবাস। শীতের প্রকোপে ফুটপাতে আমাদের দেশের মতো কেউ রাত্রে যাপন করতে পারে না। এখনো তাপমাত্রা এককের ঘরে মাঝে মাঝে মাইনাস হয়ে যায়। অনেক দোকানপাট সন্ধ্যা ছয়টা সাতটার মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। আবার দোকান খুলে সকাল দশটায়। খুব ভোরে মানুষ কাজে চলে যায়, রাত্রে বাসায় ফিরে, একমাত্র সামারে মানুষ কিছুটা বাহির হয়।  সমস্ত মানুষগুলো একটি যন্ত্রবিশেষ।  
সে হিসাবে বাংলাদেশের লোকেরা আল্লাহর রহমতে অনেক ভালোই আছে। আমার একজন নিকট আত্মীয় এসেছে বাড়ির নিচে বেসমেন্টের দুইটি ছোট রুম। ভাড়া প্রতি মাসে ইলেকট্রিক বিল সহ ২৪০০ ডলার। কোন ড্রয়িং রুম লিভিং রুম নেই। বাংলাদেশী টাকা ভাড়া আড়াই লক্ষ টাকা। এই টাকা দিয়ে গুলশানে বনানীতে ভালো অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া  পাওয়া যাবে দুইটি।  
চাকুরীর দুই ভাগের এক ভাগ টাকা ট্যাক্সে চলে যায়।  
প্রতিটি মানুষ রোবটের মত। সুবিধার মধ্যে পরিবেশ দূষণমুক্ত, চিকিৎসা ফ্রি তবে ডাক্তার পাওয়া যায় দুই মাস এক মাস পর। ছেলে মেয়ে লেখাপড়া ভালো।  না হলে বাংলাদেশ সবার সেরা। 
উল্লেখ্য করোনা সংকটের সময় যে সমস্ত অর্থ সাহায্য করেছিল এখন সুদে আসলে ফেরত দিতে হচ্ছে।  
এই অর্থনীতির সংকটের  সময়ও আমাদের দেশের মতো এরা চিৎকার করে না, কোন মিছিল প্রতিবাদ দেখিনা। দুর্নীতি নেই বললেই চলে। তাই মানুষ সহ্য করে এবং কিছু বলতে পারেনা।